আপনার যে ফেসবুক পোস্ট অন্যের ক্ষতির কারণ হবে

ফেসবুকে কোন কিছুর বীভৎস ছবি বা ভিডিও দেয়া মোটেই ঠিক না। সবার সবকিছু সমানভাবে মেনে নেয়ার মানসিক ক্ষমতা সমান নয়। কেউ খুবই দুর্বল চিত্তের হয়ে থাকেন। অল্পতেই ভেঙে পড়েন। আবার কারো কাছে হতে পারে মামুলী বিষয়।
চেম্বারে এমন রোগী নেহায়েত কম নয় যারা এসে প্রায়ই বলেন, ‘ফেসবুকের সেই ছবিটা দেখার পর থেকেই আমার ঘুম হয় না, অথবা "ফেসবুকে ভিডিওটা দেখার পর থেকে মেয়েটা কেমন যেনো হয়ে গেছে’।
ফেসবুকের বীভৎস ছবি বা ভিডিও মানসিক রোগ তৈরি করে না বা সরাসরি কোন কারণ নয় ঠিক। তবে এটা মানসিক রোগ বহিঃপ্রকাশ এর জন্যে একটা মারাত্মক প্রিসিপিটেটিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
সুস্থ মানুষে হঠাৎ করে মানসিক রোগ দেখা দেয়ার জন্যে কারণ অনুসন্ধান করলে অনেক সময় অনেক ফ্যাক্টর এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফ্যাক্টর মানে হলো,যার জন্যে মানসিক রোগের লক্ষণ ফুটে উঠেছে বা লক্ষণ স্থায়ী রূপ নিয়ে এসছে।
ফ্যাক্টরগুলো প্রধানত তিন রকম।
১) প্রি-ডিসপোসিং ফ্যাক্টর
২) প্রিসিপিটেটিং ফ্যাক্টর
৩) পারপিচুয়েটিং ফ্যাক্টর।
আরো কিছু ফ্যাক্টর আছে যেমন প্রেসেন্ট ফ্যাক্টর, প্রোটেক্টিভ ফ্যাক্টর।
প্রি-ডিসপোসিং ফ্যাক্টর হলো, ওই ফ্যাক্টর যা রোগী মধ্যে আছে, এবং এই ফ্যাক্টর থাকার জন্যে যেকোন প্রতিকুলতায় তার মধ্যে মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর একটা প্রি-ডিসপোসিং ফ্যাক্টর।
প্রিসিপিটেটিং ফ্যাক্টর হলো যে ঘটনা, দৃশ্য বা অবস্থার জন্যে পর থেকে মানসিক রোগের লক্ষন প্রকাশ পেয়েছে। যেমন কোন বিয়োগাত্মক ঘটনা বা বিভৎ কাহিনী ছবি, দারিদ্রতা।
পারপিচুয়েটিং ফ্যাক্টর হলো যে ফ্যাক্টর এর উপস্থিতি থাকায় রোগীর রোগ কমছেনা। যেমন পারিবারিক কলহ, পরিবারে অশান্তি।